Skip to main content

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ড. মো: মাসুম বিল্লাহ আল-আযহারী, তার পূর্ণ নাম আবু ত্বহা মো: মাসুম বিল্লাহ। তার পিতার নাম মো: আবুল হোসাইন (রাহি.) এবং মাতার নাম রাবেয়া বেগম (রাহি.)। তিনি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ইচাদী গ্রামে ১৯৮৪ শালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

ড. মো: মাসুম বিল্লাহ আল-আযহারী

তিনি নিজ এলাকাতেই সরকারী বৃত্তি সহ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। এরপর ছারছীনা দারুস্সুন্নাত কামিল মাদ্রাসা, পিরোজপুর থেকে আলিম (উচ্চমাধ্যমিক) এবং ১৫তম বোর্ড স্ট্যান্ড সহ ফাযিল (স্নাতক) এ উত্তীর্ণ হন। অতঃপর জামেয়া-ই কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা, নরসিংদী, থেকে ১৩তম বোর্ড স্ট্যান্ড সহকারে কামিল (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।

অতঃপর ড. আযহারী ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। মিশরের বিশ্ববিখ্যাত আল-আযহার ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৮ শালে ধর্মতত্ত্ব বিভাগে বি.এ. অনার্স এ এক্সিল্যান্ট মার্ক পেয়ে ফার্ষ্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১২ শালে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে কোরআন-সুন্নাহ (তাফসীর) বিভাগে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। অবশেষে ২০২৩ শালে সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিতাব-সুন্নাহ (তাফসীর) বিভাগে পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রী লাভ করেন।

ড. আযহারী শিক্ষা জীবন চলাকালেই মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে অবস্থিত একটি স্কুল এন্ড কলেজ ‘সেকোলা রেনাঙ্গা-ম্যানাঙ্গা আগামা ডান তাহফীজ আল কোরআন দারুল ইরফান’ এ ২০১০ সনে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। দেশে ফিরে ২০১৩ সনে ‘এসিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ’ এ গেস্ট লেকচারার হিসেবে কিছুদিন শিক্ষকতা জীবন অতিবহিত করার পর ২০১৪ সনে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ‘কো-অরডিনেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি’ তে গেস্ট লেকচারার হিসেবে ২০১৮ সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে ২০১৮ সনে পিএইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জনের উদ্দেশ্যে সৌদিআরবের জেদ্দায় অবস্থিত ‘কিং আব্দুল আজীজ ইউনিভার্সিটি’ তে চলে যান। সেখান থেকে ২০২৩ সনের ৬ই জুন তাফসীর বিভাগ থেকে পিএইচ.ডি. অর্জন করে নিজের কিছু প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে জেদ্দায় অবস্থান করছেন। হযরতের জীবনকে যেন কোরাআনের খেদমতে উৎসর্গ করতে পারেন সে জন্য দোয়া কামনা করছি।

মূল এজেন্ডা

আজকের কোরআনিক জ্ঞান

আজকের হাদীস

মুসলিম হিসেবে যা জানতেই হবে

আজকের দোয়া

Dhaka, Bangladesh
Sunday, 22nd December, 2024
SalatTime
Fajr5:30 AM
Sunrise6:37 AM
Zuhr11:57 AM
Asr2:57 PM
Magrib5:17 PM
Isha6:24 PM

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের বাণী

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাদেরকে সুন্দর একটি জীবন বিধান দান করেছেন। এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, কোরআন নামক মহা মূল্যবান জীবন বিধানটি মুসলমানদের কাছে থাকা সত্যেও আজকের সারা পৃথিবীর মুসলিম জাতি একজন যোগ্য নেতার অভাবে সংকটময় মুহূর্ত অতিবাহিত করছে। নিরপরাধ মানুষগুলো ইসলামের দুশমনদের হাতে প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছে। এ দুর্দিনে তাদের অভিযোগ শোনার মতো কেউ নেই। এ মানুষগুলো কেন এত অসহায়? কেন এ বিপদ? কেন তারা নির্যাতিত? এ প্রশ্নের সহজ উত্তরটি খুঁজে পাই বিভিন্ন গবেষকের লেখনিতে এবং বিভিন্ন আলোচকের আলোচনায়। তারা ভারাক্রান্ত হ্রদয়ে পাঠক ও উপস্থিত সবাইকে জানায় যে, মুসলিম জাতি তাদের মহামূল্যবান সম্পদ কোরআন ও সহীহ সুন্নাহ থেকে দুরে ছিটকে পড়াই এ সমস্যার মূল কারণ। এ সকল কারণ উল্লেখ করে আলোচনার মাঠ মাতিয়ে তুলা এবং স্রোতাকে কোরআন-সুন্নাহের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যুগ যুগ ধরে এভাবে মোটিভেশনাল কথাগুলো শুনে আসছি। কিন্তু কিভাবে তারা কোরআনের দিকে ফিরে আসবে? এ বিষয়ে অদ্যাবধি কার্যকর কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়; কারণ কিছু তাফসীরের অনুবাদ এবং কোরআনের কিছু সরল অনুবাদ ছাড়া, সবার উপযোগী সহজ-সরল ভাষায় কোরআনের কোন তাফসীর বাংলা ভাষায় আমার চোখে পড়েনি। এ কথাগুলো বলছি বিশেষকরে আমাদের বাংলাদেশ সমাজের প্রেক্ষাপটে।

এখন মূল কথায় আসা যাক, রাসূলুল্লাহ (সা) সাহাবীদের সামনে কোরআনের তাফসীর করতেন। সাহাবীদের কাছে কোন আয়াতের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকলে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করে বুঝে নিতেন। তার ইন্তেকালের পর সাহাবীদের থেকে তাবেয়ীগণ, তাবেয়ীদের থেকে তাবা-তাবেয়ীগণ, তাবা-তাবেয়ীদের থেকে তাদের অনুসারীগণ এবং তাদের থেকে পরবর্তী স্তরের আলেমগণ। এভাবে তাফসীরের ধারাবাহিকতা পর্যায়ক্রমে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৌঁছেছে। কোরআনকে সঠিকভাবে অনুধাবন করে জীবন গড়া প্রত্যেক মানুষের উপর কর্তব্য এবং সাধারণ মানুষকে কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দেওয়া আলেমদের উপর দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্যই যুগেযুগে আলেমগণ কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থাপনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টার মাধ্যমে তাফসীরের বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।

এ পদ্ধতিসমূহের অন্যতম একটি পদ্ধতি হলো ‘বিষয়ভিত্তিক তাফসীর’। এ প্রকার তাফসীরের ধারা তাবেয়ীদের সময় থেকে চলে আসছে, যদিও যুগের পরিবর্তনে এর ধরণ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আরব বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতিতে কোরআনের তাফসীরের উপর যথেষ্ট গবেষণা হচ্ছে। তাফসীরের এ পদ্ধতিটি এতই সহজবোধ্য যে, সকল শ্রেণীর মানুষ তা পড়ে বুঝতে পারে।

আমার বিশ্বাস এ পদ্ধতিতে আমার দেশের সর্বস্তরের মুসলমানদের কাছে তাফসীর পৌঁছাতে পারলে এবং পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে থাকা মসজিদগুলোতে তাফসীরের হালাকা গড়ে উঠলে আমাদের সমাজের বিশাল একটি অংশ তাফসীর পড়ার দিকে ফিরে আসবে। ফলে কোরআন-সুন্নাহের সাথে তাদের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হবে। অত্র কাজের আঞ্জাম দেওয়ার জন্যই “A Verse in A Day” প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।

error: Content is protected !!