“A Verse in A Day” এর আরেকটি আকর্শণীয় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো: কুরআনিক এডুকেশন। কুরআনিক এডুকেশনে যা থাকবে:
(ক) নুরানী, প্রি হিফ্জ শেষ করে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করা।
(খ) কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা ও আয়াতসমূহের অর্থ জানা।
(গ) চল্লিশ হাদীস, একশত হাদীস শেষ করে সম্পূর্ণ রিয়াদুস সালিহীন মুখস্থ করা।
(ঘ) ইসলামী তারবিয়্যাহ, দৈনিক ইসলামী আমল এবং সালাফী আক্বীদার জ্ঞান অর্জন করা।
(ঙ) বাংলার পাশাপাশি আরবী এবং ইংরেজী ভাষায় পরিপক্কতা লাভ করা।
এ কোর্সের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
(ক) এ কোর্সে শিশু শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ দানের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
(খ) বিদেশী ডিগ্রীধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা।
(গ) ইংরেজী এবং আরবী মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
(ঘ) একটি শিশু নিয়মতান্ত্রিক একাডেমিক শিক্ষা শুরু করার পূর্বে তথা আট বছরে পদার্পণ করার পূর্বেই সম্পূর্ণ কোরআন এবং এক হাজার হাদীস মুখস্থ করতে পারবে।
(ঙ) ইসলামী তারবিয়্যাহ এবং বাংলা, ইংরেজী ও আরবী এ তিন ভাষায় পারদর্শী হতে পারবে।
(চ) চার বছর মেয়াদী এ কোর্স পূর্ণ করে ইংরেজী, বাংলা এবং আরবী মিডিয়াম অথবা ভার্ষণ যে কোন স্কুল/ মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।
এ কোর্সের উদ্দেশ্য হলো:
(ক) মুসলিম পিতা-মাতা এবং একটি সমাজের উপর প্রথম দায়িত্ব হলো একজন সন্তানকে জীবনের প্রথম ধাপেই ইসলামী শিক্ষা প্রদান করা, যাতে সে শয়তানের কবলে না পড়ে। আমাদের সমাজ এ মৌলিক দায়িত্ব থেকে অনেকটাই উদাসীন। একটি শিশু এ কোর্সটি পূর্ণ করলে, সে তার জীবনের প্রথম ধাপেই ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
(খ) আমাদের সমাজে লক্ষ্য করছি, একজন শিশু সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে যথাক্রমে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করে সমাজসেবা অথবা কোন একটি চাকরীতে জয়েন করে। তার মধ্যে কোন ধরণের ইসলামী শিক্ষা তথা নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ তার থেকে উপকৃত হওয়ার পরিবর্তে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন শিশু যদি নিয়মতান্ত্রিক একাডেমিক শিক্ষায় প্রবেশের পূর্বেই কোরআন, হাদীস এবং ইসলামী তারবিয়্যাহ এর জ্ঞান অর্জন করতে পারে, তাহলে তার দ্বারা সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, ইনশাআল্লাহ।
(গ) মূলত কোরআন, হাদীস, দৈনন্দিন দোয়া এবং ইসলামী বেসিক মাসয়ালা মুখস্ত করার উপযুক্ত সময় হলো শিশুকাল। যা সালফে সালেহীনদের জীবনী পড়ে বুঝতে পারি। আমাদের সমাজের অবস্থা হলো: একটি শিশু যখন মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হয়, তখন সে গতানুগতিক একাডেমিক লেখা-পড়া করে পর্যায়ক্রমে সকল ধাপ পেড়িয়ে ছাত্র জীবন শেষ করে মাওলানা, মুফতী, ডক্টর ইত্যাদি হয়ে কেউ ওয়াজের ময়দানে, কেউ ফতোয়া প্রদানের চেয়ারে, আবার কেউ শিক্ষকতার পেশায় জয়েন করে। অথচ কোরআন, হাদীস এবং সালফে সালেহীনদের কথা থেকে কোড করার মতো যথেষ্ট দলীল তার মুখস্থ ভান্ডারে না থাকার কারণে নিজে সমস্যায় পতিত হয় এবং অন্যকেও সমস্যায় ফেলে। আমাদের এ কোর্সটি একজন শিশু পূর্ণ করলে সে উল্লেখিত সমস্যায় পতিত হবে না, ইনশাআল্লাহ।